কে ওই শোনাল মোরে আযানের ধ্বনি। 
 মর্মে মর্মে সেই সুর, বাজিল কি সুমধুর 
 আকুল হইল প্রাণ, নাচিল ধমনী। 
 কি মধুর আযানের ধ্বনি! 
 আমি তো পাগল হয়ে সে মধুর তানে, 
 কি যে এক আকর্ষণে, ছুটে যাই মুগ্ধমনে 
 কি নিশীথে, কি দিবসে মসজিদের পানে। 
 হৃদয়ের তারে তারে, প্রাণের শোণিত-ধারে, 
 কি যে এক ঢেউ উঠে ভক্তির তুফানে- 
 কত সুধা আছে সেই মধুর আযানে। 
 নদী ও পাখির গানে তারই প্রতিধ্বনি। 
 ভ্রমরের গুণ-গানে সেই সুর আসে কানে 
 কি এক আবেশে মুগ্ধ নিখিল ধরণী। 
 ভূধরে, সাগরে জলে নির্ঝরণী কলকলে, 
 আমি যেন শুনি সেই আযানের ধ্বনি। 
 আহা যবে সেই সুর সুমধুর স্বরে, 
 ভাসে দূরে সায়াহ্নের নিথর অম্বরে, 
 প্রাণ করে আনচান, কি মধুর সে আযান, 
 তারি প্রতিধ্বনি শুনি আত্মার ভিতরে। 
 নীরব নিঝুম ধরা, বিশ্বে যেন সবই মরা, 
 এতটুকু শব্দ যবে নাহি কোন স্থানে, 
 মুয়াযযিন উচ্চৈঃস্বরে দাঁড়ায়ে মিনার ‘পরে 
 কি সুধা ছড়িয়ে দেয় উষার আযানে! 
 জাগাইতে মোহমুদ্ধ মানব সন্তানে। 
 আহা কি মধুর ওই আযানের ধ্বনি। 
 মর্মে মর্মে সেই সুর বাজিল কি সমধুর 
 আকুল হইল প্রাণ, নাচিল ধমনী।

======