অপ্রিয় হলেও সত্য। জাগ্রতকবি মুহিব খাঁন



জানো কি বন্ধু! এদেশের কিছু, শিক্ষিত গরু আছে-
বাঁচার জন্য খায়না তাহারা, খাওয়ার জন্য বাঁচে।

নিজেদের ভাবে মহাপন্ডিত, জ্ঞানী ও বুদ্ধিজীবী।
আসলে মাথায় কিছু নেই, শুধু পঁচা গোবরের ঢিবি।

মৌলভী দেখলে নাক সিটকায়, মোল্লা দেখলে জ্বলে।
বানরের মতো মুখ ভেংচায়, নানা কটু কথা বলে।

ভাবে হায় হায়! হবে কি উপায়, এই মোল্লার দলে-
প্রগতীর যুগে টেনে নিল হায়, দেশটাকে রশাতলে।

মোল্লারা নাকি অপয়া অধম, সমাজের নাকি বোঝা।
হাল জামানার বোঝেনা কিছুই, কেবলই নামাজ রোজা।

আমি বলি বাছা সবুর সবুর, এতোটা তো নয় সোজা।
কে কতোটা ভালো কে কতোটা দোষী, এসো শুরু করি খোঁজা।

প্রথমেই দেখো শিক্ষাঙ্গনে, সন্ত্রাস করে কারা?
আমরা তো দেখি তোমরাই করো, করেনা তো মোল্লারা।

পার্কে-বাগানে এখানে-সেখানে, ভাঙা বস্তির ফাঁকে।
গাঁজার আসরে দেখেছ কি বলো, কভু কোনো মোল্লাকে?

কোন খানে কোন মদের আড্ডা, কিংবা জুয়া খেলাতে।
তোমাদের কভু দেখা হয়েছে কি, কোনো মোল্লার সাথে?

হাটে বা বাজারে অলিতে-গলিতে, কিবা রাস্তার মোড়ে।
দেখেছ কি কোনো মোল্লা কখনো, চুরি-রাহাজানি করে?

সাথে বে-শরম বে-হায়া বে-লাজ উদ্ভট নারী নিয়ে,
কোন মোল্লা কি তোমাদের মতো বেড়ায় রিক্সা দিয়ে?

রাস্তার পরে মাস্তানি বল মোল্লারা করে কভু?
অযথাই কেন মোল্লাদেরকে দোষারোপ কর তবু?

তোমরাই বলো কোনোদিন কোনো অফিসে বা আদালতে,
কোনো মোল্লাকে পেয়েছ কখনো কারো কাছে ঘুষ খেতে?

যত দূর্নীতি কালোবাজারী বা মাদক চোরাচালানে,
কজন মোল্লা পেয়েছ বলতো হাতে আঙ্গুলে গুনে?

মাদরাসা পড়া শেষ করে তারা কিছুনা কিছুতো করে,
বেকারত্বের অভিশাপ নিয়ে বসে তো থাকেনা ঘরে।

কোন যুক্তিতে করো বাহাদুরী, কিসের গরীমা এতো?
তোমরাতো করো দাড়িয়ে পেশাব, নেড়ী কুকুরের মতো।

মুখে বল শুধু আমরা বাঙালি আমরা স্বাধীন জাতি,
ইংরেজদের গোলামী ছাড়োনি আজো বাপ-দাদা-নাতি।

প্যান্টের নিচে শার্ট ইন করে দেখাও পাছার মাপ,
দাড়ি গোঁফ চেঁছে কচি খোকা সাজো এগারো ছেলের বাপ।

বাংলার সাথে ইংরেজি মারো দেখাও আধুনিকতা,
বৈশাখ এলে ঢালো বটমুলে হৃদয়ের আকুলতা!

পাঞ্জাবী পড়ে বাঙালি সাজো মাটির সানকী হাতে,
নারীমদ নিয়ে নাচো ইংরেজী নববর্ষের রাতে।

ব্রেকফার্স্ট লাঞ্চ ডিনার কত কি?
শিখেছ নতুন ভাষা!
বাড়ীতে গরীব মায়েরা কিষানী,
বাপেরা গরীব চাষা।

মাম্মী-ড্যাডি তো হয়েছে মা-বাপ,
আঙ্কেল হলো চাচা।
হিসাবে তো দেখি তোমরাই বাপু,
সমাজের পরগাছা।

তোমরাই বাপু চরম বাচাল,
বেয়াদব বে-পরোয়া।
বাসে ট্রেনে বসে সিগারেট টানো,
বাতাসে ছড়াও ধোঁয়া।

পথে ঘাটে কোনো সুন্দরী পেলে,
তোমরাই মারো শীষ।
তোমরাই ডেকে এনেছো,
জাতীর কপালে গরদিশ।

তোমরাই আনো বখাটে ফ্যাশন বানরের বেশ ধরে,
জোড়াতালি মারা প্যান্টের সাথে স্কিন টাইট জামা পড়ে।

চুলের বাহারে বুঝিনা আহারে কে পুরুশ কে মহিলা,
কিছু লাল কিছু বাদামি আবার কিছু আছে ছিলা।

ব্যান্ডের তালে ভন্ডের মতো মাতাল নৃত্য নেচে,
দেশী সংস্কৃতি-সভ্যতাটুকো তোমরাই দিলে বেঁচে।

তোমরাই করো বস্ত্রহরন টিএসসি চত্বরে,
খুন-ধর্ষনে সেঞ্চুরী করে জানাও গর্বভরে।

তোমরাই হলে সমাজের কীট, সমাজের নর্দমা।
দেশ জনতার গণআদালতে, তোমাদের নাই ক্ষমা।

মোল্লারা আজো নম্র-ভদ্র, এখনো শান্ত-ধীর।
তোমরাই হলে পাপে কলুষিত, কলঙ্ক এ জাতির।

নীতিশৃঙ্খলা শ্রদ্ধা-ভক্তি, এখনো তাদের আছে।
দেশ জাতি যাহা করে না আশাই, আজ তোমাদের কাছে।

হয়তো তাহারা কিছুটা সরল, চুপচাপ সাদা-সিধা।
এদের কারনে সমাজের, হলো কি অসুবিধা?

ঈমাধ-আমল দেশপ্রেম, সবি আছে তাহাদের মাঝে।
জেনে বুঝে সব চুপ-চাপ তারা, আছে তাহাদের কাজে।

তাই বলি- বাছা! অযথাই শুধু খুঁচিওনা তাহাদেরে।
বলাতো যায় না, আরামের ঘুম নিতে পারে তারা কেড়ে!

মোল্লারা যদি ক্ষেপে যায় তবে তোমাদের হবে কি যে!
সারা দুনিয়ার হিসাব মিলিয়ে অংকটা কর নিজে।

মোল্লার ভয়ে কাঁপে থর থর ইউরোপ আমেরিকা,
তোমরা তো বাছা ছিঁচকে ইঁদুর টিকটিকি চামচিকা।

আঁতুর ঘরে তো বাচ্ছার কানে আজান দেবার তরে,
দিনে কিবা রাতে হাঁপাতে হাঁপাতে ছুটো মোল্লার ঘরে।

তবে কেন এতো মোল্লাবিরোধী মোল্লার প্রতি ঘৃনা?
তার চেয়ে দেখ কিছুটা মোল্লা নিজে হতে পারো কিনা?

যৌবনে সোজা না হয়ে তোমরা জীবন কাঁটাও বেঁকে,
বুড়ো হয়ে পরে মসজিদে আসো টুপি আর দাঁড়ি রেখে।

বিজাতীয় রীতি অপসংস্কৃতি নীতিহীনতার ফাঁদে-
মোল্লারা ছাড়া গোল্লায় সব যাবে কিছুদিন বাদে।

হাজার পাপের বোঝা নিয়ে চুপ চাপ বসে থাকো,
সত্যের হাঁড়ি ভেঙ্গে দিলে আর নিস্তার পাবে নাকো।

গর্তে ঢোকার সময় জানো তো সোজা হয়ে ঢুকে সাপ,
ধরা খেলো সোজা তোমরা না শুধু হবে তোমাদের বাপ।

তার চেয়ে এসো, এক সাথে মেশো, ঘৃনা বিদ্বেষ ছাড়ো।
ইসলাম শেখো, চোখ মেলে দেখো, বহু কিছু আছে আরো।

কভু যা দেখনি, কভু যা বোঝনি, কভু যা শোননি কানে।
খাঁটি মোল্লার দরবার ছাড়া, পাবেনা তা কোন খানে।

মোল্লাকে বোঝো, মোল্লাকে খোঁজো, মোল্লাকে পুঁজো সবে।
তারাই তো হবে কামিয়াব, যারা মোল্লার সাথে রবে।

সহজ ভাষায় জানালাম কিছু অপ্রিয় সত্য কথা,
মানো বা না মানে আসলে এটাই চরম বাস্তবতা।

Post a Comment

2 Comments