কওমী মাদরাসা। ইসলামী শিক্ষার জন্য
গঠিত প্রতিষ্ঠান। মাদরাসাতুস্ সুফফার আদলে নির্দিষ্ট সিলেবাস(দরসে নেযামি) অনুযায়ী এতে পড়ানো হয়।
শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে যাদের ধারণা রয়েছে তারা একবাক্যে স্বীকার করবে যে এটি একটি প্রাচীন ও ধর্মীয় শিক্ষাব্যবস্থা। কওমী মাদরাসার সব ক'টি স্তর ভালো করে পড়ে অতিক্রম করলে একজন মানুষ কোরান, হাদীস, ফিকহ(কোরআন, হাদীস, ইজমা অর্থাৎ বিজ্ঞ আলেমদের ঐকমত্য, কিয়াস অর্থাৎ অন্য কোন বিষয়ের প্রতি লক্ষ করে কোন একটি বিষয়ের হুকুম লাগানো এই চারটি থেকে মুসলমানদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে চলার নীতি)র উপর পারদর্শী হয়ে ওঠে। তার ভিতরে আল্লাহ, রাসুল প্রীতি ও তাকওয়া সৃষ্টি হয়। আর কওমী মাদরাসায় অধ্যয়ন করার উদ্দেশ্য ও তাই।
তাই কওমী মাদরাসা শিক্ষা জাগতিক শিক্ষা (দৈনন্দিন জীবনে
অপ্রয়োজনীয়)কে উপেক্ষা করে কোরআনের শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলে। গড়ে তুলে একদল দক্ষ ইসলামিক ব্যক্তি, আল্লাহর ওলী।
এই কওমী মাদরাসা শিক্ষাটি দীর্ঘ অনেক বছর যাবত বাংলাদেশে স্বীকৃত ছিল না।
যদিও স্বীকৃত শিক্ষিতরাও ধর্মীয় শিক্ষার জন্য কওমী পড়ুয়াদের নিকট ছুটে আসত, আসে। স্বীকৃতি না থাকাতে রাষ্ট্রের কাছে কওমী মাদরাসা শিক্ষায় শিক্ষিতরা মূর্খের কাতারে থেকে যেত।
এটা ছিল রাষ্ট্রের জন্য ব্যর্থতা। রাষ্ট্র পরিচালকদের দূর্ভাগ্য যে রাষ্ট্রের বৃহত একটা জনগোষ্ঠী এই শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার পরও তারা তাদের মূল্যায়ন করতে পারেনি। যাদের মূল্য আছে তাদের মূল্যায়ন না করাটা অবশ্যই দূর্ভাগ্য। সবাই এটা অকপটে স্বীকার করবে। যাহোক, অবশেষে বর্তমান সরকার এটা বুঝতে পেরেছে। তাই স্বীকৃতির ঘোষণা দিয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ।
সরকার কর্তৃক স্বীকৃতি ঘোষণার পর একদল ঘেয়ো মূর্খের মত কওমী মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে যা তা বলে যাচ্ছে। ঘেয়ো মূর্খ এজন্যই বললাম যে, কওমী মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে তাদের মোটেও জ্ঞান নেই। মোটেও নেই বলাতে হয়তো অনেকে চটে যেতে পারেন। চটবেন না। রাগবেন না। আমি মূখস্থ নয় আপনাদের পাঠ করেই বলছি। আমি আপনাদের কওমী মাদরাসা সম্পর্কে জানতে বলব। মাদরাসা শিক্ষা সম্পর্কে কোন লেখা দেখেই পড়ে ফেললেন। ভাবলেন জেনে গেছি। ব্যস, মন্তব্য শুরু। জ্ঞানের কাঁটা জনতার মনে বিদ্ধ করা শুরু করে দিলেন! আফসোস আপনার জন্য। হাজারো বস্তা আফসোস। আরে ভাই আপনিতো এটাও জানেন না যে, মাদরাসা শিক্ষাকে কিছু স্বার্থান্বেষী আরো দুটো ভাগে বিভক্ত করে নিয়েছে। আলীয়া এবং আহলে হাদীস এর আগে উহ্য রেখেছে। কিছু দিন আগে নয়াদিগন্ত পত্রিকাতেই দেখলাম এক ভাই এই সমস্যায় ভুগেছেন। সমস্যাটা থেকে বেরিয়ে এসে শুধুমাত্র কওমী মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে জানুন। এরপর মন্তব্য করুন। আপত্তি করবো না। দুঃখও করবো না।
সম্প্রতি সময়ে কওমী মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তনের স্লোগান তুলছেন কওমী মাদরাসাপ্রেমি(!) অ-প্রেমি একদল টকশো বক্তা। স্বীকৃতির পূর্বেও এই স্লোগান ছিল। তবে এখনের মত নয়। এখন একটু বেশিই এর চর্চা হচ্ছে। টাইম খরচা হচ্ছে!
টকশো বক্তাদের বক্তব্যটাকে নিজের ভাষায় এভাবে উপস্থাপন করছিঃ-
মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থা আধুনিকায়নের জন্য বাংলা, ইংরেজী, ইতিহাস, রাষ্ট্র বিজ্ঞান, সমাজ বিজ্ঞান সহ আরো কিছু বিষয় এড করতে হবে। কারণ, যেহেতু এই শিক্ষাব্যবস্থাকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে সেহেতু এর থেকে ডাক্তার, ইঞ্জিয়ার, ব্যরিস্টার ইত্যাদি যাতে বের হতে পারে এরকম করে যাতে শিক্ষা সিলেবাস প্রণয়ন হয়। এরজন্য প্রয়োজনে বর্তমান সিলেবাস ভেঙে দিয়ে নতুন সিলোবাস হোক!
বক্তাদের জন্য একবস্তা করুনা।
কেন?
কারণ শুনবেন না!
আসুন এবার কারণটা জানি।
কওমী মাদরাসা শিক্ষার মূল লক্ষ হল কোরান, হাদীস, ফিকহ'র উপর পারদর্শী একদল লোক গড়ে তুলা।
তাই এর উপর পারদর্শী করতে যে বিষয়গুলো জানা প্রয়োজন এগুলো নিয়েই এর সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়েছে। কোরআন, হাদীস এবং ফিকহ যদিও তিনটি দেখছি মূলে কিন্তু একটিই।
তা কী? কোরান। হাদীস কোরআনের তাফসির। ফিকহ কোরআন থেকে অর্জিত বিধান। এই ব্যাপারটা বুঝে এলে অবশ্যই এটা বুঝতে আর বাকি থাকার কথা না যে, কওমী মাদরাসায় কোরআন মাজীদ অর্থাৎ মানুষের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত গাইডবুকটিই পড়ানো হয়। কেনো?
মানুষ আল্লাহর পথে পরিচালিত হতে এবং অন্যকে যাতে এর দ্বারা পরিচালনা করতে পারে।
সুতরাং কওমী মাদরাসা সিলেবাসের মূল লক্ষ একটা। আর তা হল তাকওয়া ওয়ালা একদললোক গঠন করা। কোরানের ভাষায় বড় দলের ছোট দল।
যারা কোরান বুঝে স্বজাতীর কাছে তা উপস্থাপন করে। তাদের বুঝায়।
এখন আসুন তবে এর থেকে ডাক্তার, ইঞ্জিয়ার ইত্যাদী তৈরি হতে বাধাটা কোথায় জেনে নেই। আচ্ছা আপনি বলুন, জাগতিক শিক্ষায় কেউ যদি ডাক্তারি বিষয়ে পড়াশুনা করে সে কি হতে পারে? যে সাবজেক্ট নিয়ে পড়লে ইঞ্জিয়ার হয় সে সাবজেক্ট পড়ে কেউ ডাক্তার হতে পারবে? উত্তর একটাই না।
কারণ, প্রতিটির সাবজেক্ট ভিন্ন। যে যে সাবজেক্ট নিয়ে পড়বে সে তাই হবে। এটাই স্বাভাবিক। তেমনি, কওমী মাদরাসায় পড়াশুনা করে একটি ছেলে শুধু আলেম হতে পারে। কারণ, এই সাবজেক্ট পড়ে আলেম হওয়া যায়।
এবং মাদরাসার বর্তমান সিলেবাস এই আলেম তৈরির জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে। সুতরাং এর থেকে ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার ইত্যাদী বের করার প্ল্যান দেয়ার মানেটা হল, কওমী মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে আপনি মূর্খ এ কথার জানান দেয়া। প্লিজ, নিজেকে বাঁচান। প্লিজ, নিজেকে শিক্ষিত প্রমাণ করুন। অবান্তর কথার অবতারনা না করে কওমী মাদরাসাকে পাঠ করুন। কওমী মাদরাসাকে বুঝোন। দেখবেন এই কওমীর প্রতি আপনি অনুরাগী হতে বাধ্য হবেন। কারণ, কওমী মাদরাসা এমনই। কওমী মাদরাসা সৃষ্টি এবং স্রষ্টাকে ভালোবাসতে শেখায়। কারণ, এটাও আল্লাহকে পাওয়ার মাধ্যম।
মোহাম্মদ সাদী তরুণ আলেম, লেখক, চিন্তক।
গঠিত প্রতিষ্ঠান। মাদরাসাতুস্ সুফফার আদলে নির্দিষ্ট সিলেবাস(দরসে নেযামি) অনুযায়ী এতে পড়ানো হয়।
শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে যাদের ধারণা রয়েছে তারা একবাক্যে স্বীকার করবে যে এটি একটি প্রাচীন ও ধর্মীয় শিক্ষাব্যবস্থা। কওমী মাদরাসার সব ক'টি স্তর ভালো করে পড়ে অতিক্রম করলে একজন মানুষ কোরান, হাদীস, ফিকহ(কোরআন, হাদীস, ইজমা অর্থাৎ বিজ্ঞ আলেমদের ঐকমত্য, কিয়াস অর্থাৎ অন্য কোন বিষয়ের প্রতি লক্ষ করে কোন একটি বিষয়ের হুকুম লাগানো এই চারটি থেকে মুসলমানদের দৈনন্দিন জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে চলার নীতি)র উপর পারদর্শী হয়ে ওঠে। তার ভিতরে আল্লাহ, রাসুল প্রীতি ও তাকওয়া সৃষ্টি হয়। আর কওমী মাদরাসায় অধ্যয়ন করার উদ্দেশ্য ও তাই।
কোরআনের ভাষায় কোরআন সম্পর্কে যারা ধারণা রাখে তাদেরকেই শিক্ষিত বলা চলে, অন্য শিক্ষায় শিক্ষিত হলে কোরআন তাকে শিক্ষিত বলে না। এটা স্বাভাবিক ব্যাপার। এটা এভাবে যে, মানুষের স্রষ্টা আল্লাহ। আল্লাহ মানুষকে সৃষ্টি করে তার চলার জন্য একটা গাইডবুক দিয়ে রেখেছেন। এই গাইডবুক অনুযায়ি মানুষ চলবে। এখন যদি একজন এই গাইডবুক সম্পর্কে মোটেও ধারণা না রাখে তাহলে সে তার চলার নীতি সম্পর্কে কীভাবে জানবে!? আর নিজের চলার পথ সম্পর্কে যে জানে না সে কি বাস্তবে শিক্ষিত?
তাই কওমী মাদরাসা শিক্ষা জাগতিক শিক্ষা (দৈনন্দিন জীবনে
অপ্রয়োজনীয়)কে উপেক্ষা করে কোরআনের শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলে। গড়ে তুলে একদল দক্ষ ইসলামিক ব্যক্তি, আল্লাহর ওলী।
এই কওমী মাদরাসা শিক্ষাটি দীর্ঘ অনেক বছর যাবত বাংলাদেশে স্বীকৃত ছিল না।
যদিও স্বীকৃত শিক্ষিতরাও ধর্মীয় শিক্ষার জন্য কওমী পড়ুয়াদের নিকট ছুটে আসত, আসে। স্বীকৃতি না থাকাতে রাষ্ট্রের কাছে কওমী মাদরাসা শিক্ষায় শিক্ষিতরা মূর্খের কাতারে থেকে যেত।
এটা ছিল রাষ্ট্রের জন্য ব্যর্থতা। রাষ্ট্র পরিচালকদের দূর্ভাগ্য যে রাষ্ট্রের বৃহত একটা জনগোষ্ঠী এই শিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার পরও তারা তাদের মূল্যায়ন করতে পারেনি। যাদের মূল্য আছে তাদের মূল্যায়ন না করাটা অবশ্যই দূর্ভাগ্য। সবাই এটা অকপটে স্বীকার করবে। যাহোক, অবশেষে বর্তমান সরকার এটা বুঝতে পেরেছে। তাই স্বীকৃতির ঘোষণা দিয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ।
সরকার কর্তৃক স্বীকৃতি ঘোষণার পর একদল ঘেয়ো মূর্খের মত কওমী মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে যা তা বলে যাচ্ছে। ঘেয়ো মূর্খ এজন্যই বললাম যে, কওমী মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে তাদের মোটেও জ্ঞান নেই। মোটেও নেই বলাতে হয়তো অনেকে চটে যেতে পারেন। চটবেন না। রাগবেন না। আমি মূখস্থ নয় আপনাদের পাঠ করেই বলছি। আমি আপনাদের কওমী মাদরাসা সম্পর্কে জানতে বলব। মাদরাসা শিক্ষা সম্পর্কে কোন লেখা দেখেই পড়ে ফেললেন। ভাবলেন জেনে গেছি। ব্যস, মন্তব্য শুরু। জ্ঞানের কাঁটা জনতার মনে বিদ্ধ করা শুরু করে দিলেন! আফসোস আপনার জন্য। হাজারো বস্তা আফসোস। আরে ভাই আপনিতো এটাও জানেন না যে, মাদরাসা শিক্ষাকে কিছু স্বার্থান্বেষী আরো দুটো ভাগে বিভক্ত করে নিয়েছে। আলীয়া এবং আহলে হাদীস এর আগে উহ্য রেখেছে। কিছু দিন আগে নয়াদিগন্ত পত্রিকাতেই দেখলাম এক ভাই এই সমস্যায় ভুগেছেন। সমস্যাটা থেকে বেরিয়ে এসে শুধুমাত্র কওমী মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে জানুন। এরপর মন্তব্য করুন। আপত্তি করবো না। দুঃখও করবো না।
সম্প্রতি সময়ে কওমী মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থায় পরিবর্তনের স্লোগান তুলছেন কওমী মাদরাসাপ্রেমি(!) অ-প্রেমি একদল টকশো বক্তা। স্বীকৃতির পূর্বেও এই স্লোগান ছিল। তবে এখনের মত নয়। এখন একটু বেশিই এর চর্চা হচ্ছে। টাইম খরচা হচ্ছে!
টকশো বক্তাদের বক্তব্যটাকে নিজের ভাষায় এভাবে উপস্থাপন করছিঃ-
মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থা আধুনিকায়নের জন্য বাংলা, ইংরেজী, ইতিহাস, রাষ্ট্র বিজ্ঞান, সমাজ বিজ্ঞান সহ আরো কিছু বিষয় এড করতে হবে। কারণ, যেহেতু এই শিক্ষাব্যবস্থাকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে সেহেতু এর থেকে ডাক্তার, ইঞ্জিয়ার, ব্যরিস্টার ইত্যাদি যাতে বের হতে পারে এরকম করে যাতে শিক্ষা সিলেবাস প্রণয়ন হয়। এরজন্য প্রয়োজনে বর্তমান সিলেবাস ভেঙে দিয়ে নতুন সিলোবাস হোক!
বক্তাদের জন্য একবস্তা করুনা।
কেন?
কারণ শুনবেন না!
আসুন এবার কারণটা জানি।
কওমী মাদরাসা শিক্ষার মূল লক্ষ হল কোরান, হাদীস, ফিকহ'র উপর পারদর্শী একদল লোক গড়ে তুলা।
তাই এর উপর পারদর্শী করতে যে বিষয়গুলো জানা প্রয়োজন এগুলো নিয়েই এর সিলেবাস প্রণয়ন করা হয়েছে। কোরআন, হাদীস এবং ফিকহ যদিও তিনটি দেখছি মূলে কিন্তু একটিই।
তা কী? কোরান। হাদীস কোরআনের তাফসির। ফিকহ কোরআন থেকে অর্জিত বিধান। এই ব্যাপারটা বুঝে এলে অবশ্যই এটা বুঝতে আর বাকি থাকার কথা না যে, কওমী মাদরাসায় কোরআন মাজীদ অর্থাৎ মানুষের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত গাইডবুকটিই পড়ানো হয়। কেনো?
মানুষ আল্লাহর পথে পরিচালিত হতে এবং অন্যকে যাতে এর দ্বারা পরিচালনা করতে পারে।
সুতরাং কওমী মাদরাসা সিলেবাসের মূল লক্ষ একটা। আর তা হল তাকওয়া ওয়ালা একদললোক গঠন করা। কোরানের ভাষায় বড় দলের ছোট দল।
যারা কোরান বুঝে স্বজাতীর কাছে তা উপস্থাপন করে। তাদের বুঝায়।
এখন আসুন তবে এর থেকে ডাক্তার, ইঞ্জিয়ার ইত্যাদী তৈরি হতে বাধাটা কোথায় জেনে নেই। আচ্ছা আপনি বলুন, জাগতিক শিক্ষায় কেউ যদি ডাক্তারি বিষয়ে পড়াশুনা করে সে কি হতে পারে? যে সাবজেক্ট নিয়ে পড়লে ইঞ্জিয়ার হয় সে সাবজেক্ট পড়ে কেউ ডাক্তার হতে পারবে? উত্তর একটাই না।
কারণ, প্রতিটির সাবজেক্ট ভিন্ন। যে যে সাবজেক্ট নিয়ে পড়বে সে তাই হবে। এটাই স্বাভাবিক। তেমনি, কওমী মাদরাসায় পড়াশুনা করে একটি ছেলে শুধু আলেম হতে পারে। কারণ, এই সাবজেক্ট পড়ে আলেম হওয়া যায়।
এবং মাদরাসার বর্তমান সিলেবাস এই আলেম তৈরির জন্য প্রণয়ন করা হয়েছে। সুতরাং এর থেকে ডাক্তার, ইন্জিনিয়ার ইত্যাদী বের করার প্ল্যান দেয়ার মানেটা হল, কওমী মাদরাসা শিক্ষাব্যবস্থা সম্পর্কে আপনি মূর্খ এ কথার জানান দেয়া। প্লিজ, নিজেকে বাঁচান। প্লিজ, নিজেকে শিক্ষিত প্রমাণ করুন। অবান্তর কথার অবতারনা না করে কওমী মাদরাসাকে পাঠ করুন। কওমী মাদরাসাকে বুঝোন। দেখবেন এই কওমীর প্রতি আপনি অনুরাগী হতে বাধ্য হবেন। কারণ, কওমী মাদরাসা এমনই। কওমী মাদরাসা সৃষ্টি এবং স্রষ্টাকে ভালোবাসতে শেখায়। কারণ, এটাও আল্লাহকে পাওয়ার মাধ্যম।
মোহাম্মদ সাদী তরুণ আলেম, লেখক, চিন্তক।
0 Comments