প্রিয় রাসূল
দূর মদিনায় শুয়ে অাছেন
অামার প্রিয় রাসূল,
তাঁকে দেখার জন্য অামার
মন হয়েছে ব্যাকুল।
মরুর বুকে ফুটলে তুমি
গোলাপ ফুলের মতো,
তোমার ছোঁয়ায় দূরে গেল
অাঁধার ছিল যতো।
নবী এসে জ্বালিয়ে দিলেন
অাঁধার ঘরে অালো,
শত শত ভ্রষ্ট মানুষ
সঠিক দিশা পেলো।
তায়েফবাসী দিল তোমায়
কত রকম কষ্ট,
কারণ তাদের মন-মগজে
চিন্তা ছিল নষ্ট।
রহমত হয়ে ধরায় নবী
এলেন সবার মাঝে,
তাইতো তোমার দরুদ পড়ি
সকাল-দুপুর, সাঁঝে।
তোমায় নিয়ে কত লেখা
লিখেন শত কবি,
তুমি হলে সর্বকালের
মোদের শ্রেষ্ঠ নবী।
অামার দেশ
সবুজ শ্যামল দেশটি অামার
নদী নালায় ভরা,
বিশ্বে তুমি যতই খোঁজ
নাই যে এমন ধরা।
বিশ্বে তুমি যতই খোঁজ
নাই যে এমন ধরা।
সকাল বেলা ফুল বাগানে
ফুটে নানান ফুল,
খোকা-খুকি ফুল কুড়াতে
যায় উড়িয়ে চুল।
ফুটে নানান ফুল,
খোকা-খুকি ফুল কুড়াতে
যায় উড়িয়ে চুল।
গাছের ডালে পাখি ডাকে
মিষ্টি মধুর সুরে,
রাখাল ছেলে বাজায় বাঁশি
মাঠে ঘুরে ঘুরে।
মিষ্টি মধুর সুরে,
রাখাল ছেলে বাজায় বাঁশি
মাঠে ঘুরে ঘুরে।
বই মেলাতে যাবো বলে
হয়নি যাওয়া অার
যাবো যাবো বলে মেলার
মাসটা হলো পার।
বহুদিনের ইচ্ছে ছিল
বইমেলাতে যাবো
যেথায়-সেথায় ঘুরে ঘুরে
বন্ধুর দেখা পাবো।
স্টলে স্টলে ঘুরে ঘুরে
পছন্দের বই কিনবো
অটোগ্রাফে ধন্য হয়ে
লেখকদেরকে চিনবো।
অনেক বন্ধু মেলায় যেতে
করেছিল নক
তাদের সাথে মেলায় গেলে
হতো না যে ঠক।
এবার মেলায় হয়নি যাওয়া
যাবো অাগাম সালে,
ইনশাআল্লাহ মিলবে দেখা
যদি থাকে কপালে।
অাম্মুর অাদেশ মন দিয়ে তুই
লেখা-পড়া কর
অাজব,গুজব খেলা ছেড়ে
খাতা,কলম ধর!
লেখা-পড়া কর
অাজব,গুজব খেলা ছেড়ে
খাতা,কলম ধর!
অাব্বু বলেন তুমি হবে
বিশ্ব সেরা ছেলে
তাইতো অামায় দেন যে বাধা
অসৎ কাজে পেলে।
বিশ্ব সেরা ছেলে
তাইতো অামায় দেন যে বাধা
অসৎ কাজে পেলে।
সময় মতো সঠিক কাজটা
করতে যদি পারো
অলসতা,একগুঁয়েমি
এসব তুমি ছাড়ো!
করতে যদি পারো
অলসতা,একগুঁয়েমি
এসব তুমি ছাড়ো!
মায়ের মুখের আপন ভাষা
বাংলা আমার প্রাণ
এই ভাষাতে কাব্য লিখি
অার তো করি গান।
রাষ্ট্রভাষা বাংলা হবে
লক্ষ্যটা এই জেনে
জীবন দিয়ে সালাম, রফিক
আনলো ভাষা কেনে।
বুকের তাজা রক্ত দিয়ে
রাখলো ভাষার মান
বাংলা ভাষা সবার সেরা
রবের দেয়া দান।
জামেয়া দরগাহ, সিলেট।
এই দেশেতে জন্ম অামার
এই দেশেতে বাস,
কেমন করে দেশের প্রীতি
ভুলে তোরা যাস।
সোনার দেশকে ভালবেসে
যাবো জীবন ভর,
দেশের কথা লিখতে গেলে
থাকবে নাকো ডর।
দেশের প্রতি ভালবাসা
রাখবো অার ভক্তি,
দেশের বিরুদ্বে যতই তোমরা
তৈরী করো যুক্তি।
যেই সে দেশের মাটির নিচে
অাছে মুক্তা,ধন,
ভালবেসে দেশকে যাবো
করেছি অামি পণ।
বিশ্বে তুমি যতই ঘুরো
পাবেনা এমন দেশ,
অামার দেশের কথাগুলো
লিখে হবেনা শেষ।
রাস্তার ধারে একটি ছেলে
অাপন মনে হাঁটে,
এভাবে তার হেঁটে হেঁটে
দিন-রজনী কাটে।
হঠাৎ সেদিন অামার সাথে
দেখা হলো তারই,
বললাম অামি নাই কি তোমার
অাপন কোনো বাড়ি?
বললো,অামায় সবই অাছে
অাছে অারও ঘর,
থাকার পরও হলো অামার
অাপন সকল পর।
অারও বলে ক'দিন ধরে
হয়নি খাওয়া ভাত,
অনাহারে পেটের ক্ষুধায়
কাটছে কত রাত।
এভাবে তার যায় কেটে যায়
দিনের পরে দিন,
রাস্তায় থাকা এই অনাথের
একটু খবর নিন।
রক্ত দিয়ে কেনা
লাল-সবুজের এই পতাকা
রক্ত দিয়ে কেনা
সেই ইতিহাস বীর বাঙালি
কক্ষণো ভুলবে না।
লক্ষ প্রাণের মূল্যে পেলাম
আমার দেশের মাটি
শত্রুরা কেউ হাত বাড়ালে
কলজে দেবো কাটি!
দীর্ঘ ন'মাস যুদ্ধ করে
আসলো বিজয় শেষে
আমরা কেন তাও পারি না
চলতে স্বাধীন বেশে?
রচনাকাল ১৩/১২/১৭ইং
অাশা
লেখক-কবি বন্ধু যতো
অাছো তোমরা ভাই,
ভালো লেখক হতে হলে
পাঠে যে ডুব চাই।
বড় লেখক হলেন যারা
পাঠে দিতেন মন,
এখন বল লিখতে গেলে
পাঠ করে ক'জন।
অামরা অাজই লেখব হবো
এইতো মনে অাশা,
অনেক দূরে চলে যাব
পেলে ভালবাসা।
কাব্য-ছড়া লিখতে তো তাই
ভালো লাগে বেশ,
ছন্দ অামায় দেয়না ধরা
ছিঁড়ি মাথার কেশ।
ভালো লেখক হতে হলে
পাঠক হতে হবে,
এক দিবসে তোমার কাছে
চাইবে লেখা সবে।
রচনাকালঃ ০১/১০/১৭ ইং
0 Comments